নিম্নবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান আবির যখন এসএসসি পাস করেন সে সময়ে হঠাৎ তার বাবা মারা যান। ফলে সংসারের দায়িত্ব তার ওপর এসে পড়ে। এতে তার লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটে। এ অবস্থায় আবির কিছু টাকা ধার করে কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের কাছে ছোট একটি চায়ের দোকান খুলে কর্মজীবন শুরু করেন।

নাফিজ ও তার চার বন্ধু চুক্তির ভিত্তিতে একটি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করেন। উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান ভালো হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের ব্যবসায় সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে সমস্যা হচ্ছে। তাই তারা সংগঠনের ধরন পরিবর্তন করে ১৯৯৪ সালের আইনানুযায়ী 'নাফিজ এন্ড ফ্রেন্ডস' কোং লি. নামে প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন করে বৃহৎ পরিসরে কাজ শুরু করেন। দুই বছরের মধ্যে তারা দুটি বিভাগীয় শহরে শাখা খুলে ব্যবসায় সম্প্রসারণ করেন।

মুন এবং রবি 'সাদ ট্রেডার্স' নামে একটি অংশীদারি ব্যবসায় চালান। তাদের বন্ধু রাফি প্রায়ই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আসে। তাকেও ব্যবসায়টির একজন অংশীদার বলে মনে হয়। মাঝে মাঝে সে নিজেকে একজন অংশীদার বলে পরিচয় দেয়। কিছুদিন পরে "আশিক ট্রেডার্স" নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সাদ ট্রেডার্স-এর কাছে ৩০,০০০ টাকা দাবি করে। রাফি টাকাটা নিয়েছিল, এটা সত্যি ছিল কিন্তু সাদ ট্রেডার্স সে অর্থ দিতে নারাজ।

জনাব রাফসান ও তার ছয় বন্ধু একত্র হয়ে ৭০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে রাফসান ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসায় গঠন করেন। জনাব রাফসান ও তার বন্ধু রিপন পরিচালক নিযুক্ত হন। তাদের সঠিক পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়েই সফলতার মুখ দেখে। পরবর্তীতে তারা পরিচালকের সংখ্যা ও মূলধন বাড়ানোসহ ব্যবসায়টি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন। এ লক্ষ্যে তারা জনগণের মাঝে উচ্চহার সুদের ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহের উদ্যোগ নেন।

রংপুর এলাকার কয়েকজন পেঁয়াজচাষি সমঅধিকারের ভিত্তিতে সম্মিলিতভাবে নিজেদের কল্যাণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার জন্য একটি সমবায় সমিতি গড়ে তোলে।

বাংলাদেশ সরকারের অধীন ডাক বিভাগের একটি ডিজিটাল আর্থিক সেবা হলো 'নগদ'। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মূল্যে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা দেওয়া হয়। এতে গ্রাহক মোবাইল ব্যবহার করে অর্থ জমা, উত্তোলন, স্থানান্তর ও বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন করতে পারে। আর অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবার তুলনায় 'নগদ'-এ কয়েকগুণ বেশি লেনদেন করার সুবিধা পাওয়া যায়।

গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের উচ্চাভিলাষী সন্তান মি. 'ক' রাতারাতি ধনী হতে চান। তাই, তিনি পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির অর্ধেক বিক্রির অর্থ দিয়ে শহরে একটি মুদি দোকান গড়ে তোলেন। সঠিক পরিকল্পনা ও পরিচালনার অভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি পুঁজি হারিয়ে দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পাওনাদারদের দায় মেটাতে আদালত তার ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করে। বর্তমানে তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছেন। 

বিবিএ পড়ুয়া হুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র। একজন আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তি হিসেবে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি অল্প মূলধন নিয়ে বাড়ির পাশেই একটি ফটোকপির ব্যবসায় আরম্ভ করেন। ফটোকপির পাশাপাশি ভোক্তা সাধারণকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষার ফরম পূরণ, রেজাল্ট প্রকাশ, মেইলের তথ্য আদান-প্রদান, টার্ম পেপার প্রস্তুত প্রভৃতি সেবা দিয়ে বেশ ভালোই মুনাফা অর্জন করেন। তিনি নিজে ব্যবসায়ের সমস্ত বিষয় সামাল দিতে না পারায় বড় ভাইকে ফটোকপি অংশের দায়িত্ব দিয়েছেন। ফলে হুমায়ুনের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায় সফলতার আলো দেখতে শুরু করে।

সালাম কলেজের কাছে একটি স্টেশনারি দোকান পরিচালনা করে। সততা ও দক্ষতার কারণে তার ব্যবসায়টি খুব লাভজনক হয়ে ওঠে। তাই সে এর পাশাপাশি একটি ফটোকপি মেশিন ও কম্পিউটার কিনে অফিসের বিভিন্ন কাজ করে থাকে। এজন্য সে মাসিক টাকার বিনিময়ে তার ভাইকে এ কাজে নিয়োগ করে। বছরান্তে সালামের ভাই মুনাফা দাবি করে।

জনাব জামান আহমেদ প্রমিনেন্ট ও এলিগেন্ট নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানার সাথে সম্পৃক্ত। প্রমিনেন্ট প্রতিষ্ঠানটি ট্রেড লাইসেন্স এবং এলিগেন্ট প্রতিষ্ঠানটি কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র নিয়ে কাজ শুরু করে। দুটি প্রতিষ্ঠানই ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। মেয়াদপূর্তিতে টাকা পরিশোধের জন্য প্রমিনেন্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যাংক জনাব জামান আহমেদকে নোটিশ দেয়। কিন্তু এলিগেন্ট-এর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নামে নোটিশ দেয়। দুটি প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে সচ্ছল।